১৩০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’

নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপের রেশ কাটতে না কাটতেই কার্তিকের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপ তৈরির আভাস পাওয়া গেছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে এমন তথ্য দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেওয়া নাম।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল। আগামী ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে এটি আঘাত হানতে পারে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলার ওপরে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে। সম্ভব্য এই ঘুর্ণিঝড়টির কারণে পুরো বাংলাদেশের ওপরে ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।

গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুকে পোস্টে দেশের আলু চাষিদের আগামী ২০ অক্টোবরের পরে জমিতে নতুন করে কৃত্রিম সেচ না দেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের আলু চাষিদের তিনি এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা যে সময়ে বাংলাদেশে আঘাত করতে যাচ্ছে, সেই সময় বাংলাদেশের কৃষকরা আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমিতে পাকা ধান থাকলে, তা কেটে মাড়াই করে গোলায় উঠাতে হবে। নাইলে, এগুলো নষ্ট হবে।

কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে যে, শাক-সবজির জমি থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জমা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে রাখার জন্য। বিশেষ করে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে খুবই ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।’