মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ কিউ এম আশরাফুল হকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলমের নাম ভাঙিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২৮ নভেম্বর সকালে বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকিটে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের নাম লিখে দেওয়া ও রোগীর ভাগিয়ে ক্লিনিকের পাঠানোর বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে মানিকগঞ্জের দুই সাংবাদিক আফ্রিদি আহাম্মেদ ও সাইফুল ইসলামকে এ হুমকি দেন তিনি।
হুমকি দেওয়ার ভিডিওতে দেখা যায়, ডাঃ এ কিউ এম আশরাফুল হক সাংবাদিকদের বলছেন, ‘আপনি চিনেন আমি কে? আমার কথা আপনারা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলমকে জিজ্ঞেস করবেন আমি কে! আর আপনারা হাসপাতালে এসেছেন কার অনুমতি নিয়ে, আপনি জানেন সাংবাদিকদের হাসপাতালে ঢুকতে লিখিত অনুমতি লাগে? আপনারা কিসের সাংবাদিক আমাকে পরিচয় দেন। আপনারা সাংবাদিক না প্রতিনিধি? তোমরা কার পিছনে লাগছো বুঝতে পারো নাই? এভাবে তিনি বলতে বলতে এক পর্যায়ে রেগে হাসপাতাল থেকে সাংবাদিকদের বের হয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আফ্রিদি আহাম্মেদ বলেন, আজ সকালে একাধিক রোগীর অভিযোগে ডাঃ এ কিউ এম আশরাফুল হকের বক্তব্য চাইতে গেলে তিনি রেগে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলমের নাম ভাঙিয়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্ন হুমকি দেন।
আরেক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য চাইতে গেলে হুমকি দিতেন, বিভিন্ন ভয় দেখাতেন, পেশাগত কাজে বাধা দিতেন। ভেবেছিলাম স্বাধীনতার পর পেশাগত কাজে বাধা আসবে না! এখন দেখি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের নাম ভাঙিয়েও আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।
হুমকি দেওয়ার বিষয়ে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ কিউ এম আশরাফুল হক বলেন, আমার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন আমি কোনো অনিয়ম করি কি’না? এত ছোট বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে জানানো কি ঠিক হবে? আমি ওদের বলেছি, আমার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সব থেকে বড় পরিচয় হচ্ছে আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমাদের কে কি আত্মীয় সেটা কর্ম ক্ষেত্রে দেখানো উচিৎ না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে, আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।