বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও হাটহাজারী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তি চেয়েছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফরহাদ মজহার লেখেন, ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে অবিলম্বে মুক্তি দিন, সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ ধর্ম ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব জনগণের নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষা করুন, আত্মঘাতী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করুন।’
ফরহাদ মজহার ফেসবুক লেখেন, ‘হিন্দু মানেই দিল্লির দালাল, বিজেপির এজেন্ট, হিন্দুত্ববাদী এই ধরনের ঘৃণাবোধক সাম্প্রাদায়িক ট্যাগিং পরিহার করুন।
সর্বোপরি আমাদের বুঝতে হবে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা বাংলাদেশের পক্ষে নয়, বরং বিরুদ্ধে। মোটা মাথা ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে সেটা মোকাবেলা করা যাবে না। মূর্খতা পরিহার করুন। যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে রাজনীতি ব্যাখ্যা করেন ও ক্রমাগত গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেন, তাদের সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অ্যান্টেনা সাফ ও তীক্ষ্ণ করুন।’
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম আদালত। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলার পর জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
এ ঘটনায় ফেসবুক পোস্টে ফরহাদ মজহার লেখেন, ‘আমাদের মধ্যে শুভবুদ্ধি জাগ্রত হউক। আসুন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমরা আশা করব, সরকার অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেবেন।’
ফেসবুক পোস্টে এরপর ৭টি পয়েন্ট তুলে ধরেন ফরহাদ মজহার।