হাসিনার মুখের ভাষা এতোটাই খারাপ ছিলো যা কাজের বুয়াও বলে না

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহবায়ক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেছেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলত। টুপ করে ফেলে দেবেন, চুবাবেন। কী সব নোংরা কথাবার্তা। দশটা হোন্ডা বিশটা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। একজন প্রধানমন্ত্রী কি এভাবে কথা বলতে পারেন? কাজের বুয়াও তো এমন নোংরা কথা বলেন না।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন তার পিয়নের কাছে নাকি ৪০০ কোটি টাকা আছে। তাহলে মালিকের কাছে ৪ হাজার বিলিয়ন টাকা থাকতেই পারে। এত টাকা তারা পেলেন কোথায়? প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। সৎ মানুষ হিসেবে দেখতে চাই।

আবদুল ওহাব আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল? যার ডাকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার মেয়ে পালিয়ে গেছে। কেন পালিয়ে গেছে? যে আকাম-কুকাম এত বেশি করেছে, না পালাইলে তাকে ধরে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে, তারপর ওই ছাই বিক্রি হতো। এক চিমটি ছাই কেনা হতো লাখ লাখ টাকা দিয়ে। শেখ হাসিনার মৃত্যুর ছাই স্মৃতি হিসেবে রেখে দিত সবাই। মানুষের মনে তার জন্য এত ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে। কারণ তিনি মানুষকে ঘৃণা করতেন।

শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে রোজ গার্ডেন চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে এবি পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা এবি পার্টির ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ জন নতুন সদস্য দলটিতে যোগদান করেন।

তিনি আরও বলেন, বিচারহীনতা, কোর্টের বিচার হওয়ার আগেই লোকজন জানে রায় কী হবে। খালেদা জিয়াকে মাত্র ২ কোটি টাকার জন্য আটকে রাখা ছিল অন্যায় ও অবিচার। স্বাধীনতার আগেই সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক স্বীকৃতি ঘোষণা করা হয়; কিন্তু স্বাধীনতার পরে তা ওলট-পালট হয়ে গেছে। যোগ হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র; কিন্তু স্বাধীনতার আগে এসব ছিল না।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- এবি পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, জেলা এবি পার্টির সদস্য সচিব চৌধুরী এমএ সাকিব, যুগ্ম সদস্য সচিব ইমরান হোসেন রাকিব ও যুগ্ম আহবায়ক ডা. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।