ঝিনাইদহে শৈলকুপায় দেখা দিয়েছে অদৃশ্য সাপের উপদ্রব। সাপের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, জ্বীন নাকি সাপের রূপ ধারণ করে ছোবল দিচ্ছে তাদের। তবে কেউ তা চোখে দেখেনি। সাপরূপী জীন তাড়াতে বাজানো হচ্ছে বীন আর বিতরণ করা হচ্ছে সিন্নি। চিকিৎসকরা বলছেন, একটি একটি কুসংস্কার। সমস্যা সমাধানে বাড়াতে হবে সচেতনতা।
সাপরূপী জ্বীন। মাঠে, ঘাটে, খোলা স্থান বা বিছানায় হঠাৎ করেই দিচ্ছে কামড়। সেই জ্বীন তাড়াতে গ্রামজুড়ে রীতিমত হৈ চৈ পড়েছে।
আকষ্মিক উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে কত না আয়োজন। বাজানো হচ্ছে বীন। চাঁদা তুলে বিতরণ করা হচ্ছে সিন্নি। দেওয়া হচ্ছে মিলাদও। তবুও রেহাই মিলছে না। পিছু ছাড়ছে না আতংক। এক মাসের বেশি সময় ধরে এ অবস্থা এখানকার শিংনগর গ্রামে।
গ্রামবাসী জানায়, এক মাস আগে ওই গ্রামের রোকেয়া খাতুন নামের এক বৃদ্ধা রাতে আক্রান্ত হয়। পরদিন বিকালে মারা যান তিনি। সেই থেকে আতংক শুরু..। পরে আরও এক বৃদ্ধাসহ ৩ জন মারা গেলে গ্রামজুড়ে আতংকের সৃষ্টি হয়। একে একে আক্রান্ত হচ্ছে নারী-পুরুষ সবাই।
সাপের কামড়ের কথা বললেও এখন পর্যন্ত একটি সাপও দেখতে পায়নি গ্রামবাসী। আতংক বাসা বেধেছে মনে। ভয়ে রাত বা দিনে ঘরের আলো জ্বালিয়ে ঘুমাচ্ছেন তারা।
যারা মারা গেছেন সেই পরিবারগুলো বলছেন, গায়ে কোন দাগ দেখেনি তারা। হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করেও পাওয়া যায়নি বিষ। চান সমাধানও।
সচেতন মহল বলছেন, জ্বীন যদি সাপের রূপ নিয়ে মানুষকে আক্রান্ত করে তবুও তা দেখা যাবে। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি একটি মানসিক রোগ। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সচেতনতা।
ডা: রাশেদ আল মামুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ। গেল এক মাসের বেশি সময়ে ওই গ্রামে ৩ জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ।