আদালত প্রাঙ্গণে হাসনাত-সারজিসরা, পুলিশ-সেনার অবস্থান

মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বাইরে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক’দের পদত্যাগ চেয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচিত দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এর অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে তারা মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন।

আদালত প্রাঙ্গণে হাসনাত-সারজিসসহ অন্য শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। এর সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ।

সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। সেখান থেকে তাদের মিছিলটি হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে প্রবেশ করে।

এর আগে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।

মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে এ কর্মসূচির ডাক দেন তারা। ফেসবুক পোস্টে তারা লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি। ’

এর আগে গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডাকেই হাইকোর্টে জড়ো হন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাদের দাবির প্রেক্ষাপটে ওইদিনই পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি।