হাতিতে চড়ে বর এসে বউ নিয়ে গেলেন পালকিতে

হাতে তরবারি। বর যাচ্ছে হাতির পিঠে চড়ে। এখানেই শেষ নয়। হাতির পেছনে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি ‘টমটম’। তার পেছনে বৌ আনা পালকি। তার পেছনে শত শত ব্যান্ড পার্টি সাথে বরযাত্রী। এমনই এক ব্যতিক্রমী বিয়ে দেখলো ঝিনাইদহের মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটে ঝিনাইদহের শৈলকূপা সারুটিয়া ইউনিয়নের নব গ্রামে।

জানা যায়. নব গ্রামের ফারুক বিশ্বাসের ছেলে নিশান হোসেনের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয় একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনর কন্যা জেবা খাতুনের। নিশান ও জেবা স্নাতকে অধ্যয়নরত। নিশানের বাবা ফারুক বিশ্বাস রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। কন্যার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেনও রাজনীতিবিদ।

এমন আয়োজনের বিষয়ে বরের বাবা ফারুক বিশ্বাস জানান, তার বাবার ইচ্ছে ছিল নাতিকে এইভাবে রাজার বেশে বিয়ে করাবেন। তাই এমন আয়োজন করা হয়।

ছেলের মা রিক্তা খাতুন জানান, হারানো ঐতিহ্যকে তুলে ধরে এই বিয়ের জন্য এক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি চলছিল। ৬০ হাজার টাকায় সিরাজগঞ্জ থেকে হাতি ভাড়া করা হয়। সব আত্নীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের দাওয়াত করে হৈ-হুল্লোড় এবং ভুরিভোজের ব্যবস্থা করা হয় এ আয়োজনে।

কন্যার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার দেনমোহরে তার কন্যাকে নিশান হোসেনের সাথে বিবাহ দেয়া হয়েছে।

এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে বর ও কন্যা দুজনেই রোমাঞ্চিত। অনুভুতি ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রাও। এ বিষয়ে কন্যা জেবা খাতুন বলেন, খুবই ভালো লাগছে। আলাদা করে ভাবতে কে না চায়?

বর নিশান হোসেন বলেন, দাদার স্বপ্ন ছিল। সেটি পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। সত্যি বলতে আমারও খুব ভালো লাগছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, এ ধরনের আয়োজন সত্যিই ব্যতিক্রম।