দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে বেড়িয়ে এলো থলের বিড়াল

ইসকন একটা কাল্ট সংগঠন।এরা জোর জবরদস্তি খাটিয়ে, লোকের মগজ ধোলাই করে নিজেদের দলে ভেরায়।ইসকন শুধু ইসলামের জন্যে নয় মূলধারার হিন্দুদের জন্যেও ক্ষতিকর। আমরা প্রকৃত হিন্দুরা এদের হিন্দু বলেই মনে করি না।
এরা একগুঁয়ে এবং আজ পর্যন্ত হাজার হাজার বাবা-মায়ের কোল খালি করে জোর করে ছেলে-মেয়েদের ইসকনে ঢুকিয়েছে। ছেলে ইসকনের সঙ্গে যুক্ত হলে পিতামাতার কাছ থেকে ছেলেকে বঞ্চিত করে ইসকনেররা , সেই মায়ের হাতের রান্না টুকু খেতে পাবে না।
একবার এদের পাল্লায় পড়লে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন।বেরিয়ে আসতে গেলে ভয় দেখায়, নির্যাতন করে। কারুর জাগতিক কাজকর্মে অগ্রগতি দেখলেই এদের মাথা খারাপ হয়ে যায়, এরা যেভাবে পারে তাকে মগজ ধোলাই করে।
এক নজনে জেনে নিই কি সেই রহস্য…..
১) আমরা জানি পুরীতে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর জন্য ৩টি রথ । কিন্তু শুনে অবাক হবেন যে, একসময় পুরীতে রথযাত্রার সময় ৬টি রথ ব্যবহৃত হত । প্রথম দিকে পুরীর মন্দির এবং মাসীমা মন্দিরের (গুন্ডিচা মন্দির) মধ্যবর্তী স্থানে একটি নদী প্রবাহিত হত । তাই নদীর এই পারে ৩টি রথ এবং ঐ পারে ৩টি রথ ব্যবহৃত হত, এই পারের মন্দির থেকে নদী পর্যন্ত এবং ঐ পারের নদী থেকে মাসীমা মন্দির পর্যন্ত রথগুলো ব্যবহৃত হত । মাঝখানে নদী পারাপারের জন্য একটি বিশাল নৌকা ব্যবহৃত হত যাতে ভগবান জগন্নাথ, বলদেব, সুভদ্রা দেবীর বিগ্রহ থাকত ।
২) জগন্নাথ মন্দিরের একসময়কার বিখ্যাত ভজন গায়কের নাম ছিল মোহাম্মদ আজিজ । তিনি ভগবান জগন্নাথদেবকে সুমধুর ভজন শোনানোর জন্য বিখ্যাত ছিলেন ।
৩) যীশুখ্রীষ্ট ভগবান জগন্নাথদেবকে অলক্ষ্যে দর্শন করার জন্য পুরী ভ্রমণ করেছিলেন । এর প্রমাণ পাওয়া যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে মূল মন্দিরের পেছন দিকে একটি বিশাল আকৃতির ক্রুস অভিষিক্ত রয়েছে ।
৪) ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় যে, ভগবান জগন্নাথদেব ও ভগবান বুদ্ধদেবের মধ্যেও এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল । এমনকি পুরীতে ভগবান বুদ্ধদেবের অনেক নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায় । অপরদিকে শিখদের ধর্মীয় গুরু নানকের কাছেও জগন্নাথদেব প্রিয় ছলেন ।
৫) মন্দিরে ভগবানকে সর্বোচ্চ ৫৬ প্রকার ভোগ নিবেদন করা হয় তা অনেকেরেই জানা । কিন্তু এটি হয়ত অজানা যে জগন্নাথকে কোন বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে সময় প্রতিদিন ৮৮ প্রকার ভোগ নিবেদন করা হয় এবং বিশেষ বড় বড় উৎসবের সময় এর চেয়েও বেশি ভোগ ভগবানকে নিবেদন করা হয় ।